অঙ্গারং শতধৌতেন মলিনত্বং ন মুঞ্চতে নানক কান্তি সেন প্রবাদবাক্যটি মনে এল হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ‘প্রতিদিনের বাণী’ পত্রিকায় ৩১ মার্চ, ২০১৮খ্রি.-তে প্রকাশিত ‘অশৌচ ও শ্রাদ্ধ বিষয়ে বিভ্রান্তির চির অবসান চাই’ ও ২১ মে, ২০১৮খ্রি.-তে প্রকাশিত ‘সনাতন ধর্মে প্রাণিজ আমিষ গ্রহণ ও বর্জন প্রসঙ্গে’ দু দুটি প্রবন্ধ দেখে । উভয়টিই ‘পণ্ডিতস্মণ্য করুণাময় চক্রবরÍী’র দিগগজ বিদ্যার ফসল । কেন ঐ প্রবন্ধদ্বয় পড়ে উপরোক্ত আপ্তবাক্যটি মনে পড়লো, সেটা খুলে বলি । একবার ব্রহ্মার অভিশাপে দেবরাজ ইন্দ্র শূকর-যোনিতে জন্ম নিল । বহুদিন পর দেবর্ষি নারদ সেদিক দিয়ে যাচ্ছেন যেদিকের এক স্থানে শূকররূপী ইন্দ্র তার কাচ্চা-বাচ্চা নিয়ে কাদায় মহানন্দে গড়াগড়ি দিচ্ছে । শূকর তার পূর্বজন্মের কথা ভুললেও দেবর্ষি কিন্তু ঠিকই চিনতে পেরেছেন । দেবর্ষি তখন ডেকে বলছেন, “এই শূকর, ¯^র্গে যাবে ?” তখন শূকররূপী ইন্দ্র সেখান থেকে উত্তর দিচ্ছে, “দেবর্ষি, তুমি যে ¯^র্গের লোভ দেখাচ্ছ, সেখানে কী এখানকার মত সুখ আছে ?” এটিই হয় । আপনি যতই শূকরকে পরিপাটি রাখতে চেষ্টা করুন না কেন, সে কাদায় গড়াগড়ি দেবেই । সব পণ্ড করা পণ্ডিতের ও দুটি প্রবন্ধ পড়ে সেটাই...
Posts
- Get link
- X
- Other Apps
গীতার প্রথম ষটক নানক কান্তি সেন গীতার প্রথম ষটককে আচার্যপাদেরা কর্মের ষটক নামে অভিহিত করেছেন । ষটকটি শুরু হয়েছে অর্জুনবিষাদযোগ দিয়ে । শত্রæতাপন বীর অর্জুন বিষাদগ্রস্ত । যুদ্ধক্ষেত্রে নিকট আত্মীয়-¯^জন ও গুরুজনদেরকে বিপক্ষে দেখে অর্জুন কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেছেন । ক্ষত্রিয়ের পক্ষে ন্যায়যুদ্ধ করাটাও কর্তব্যকর্ম । অর্জুন সেই ভুমিকা থেকে ভ্রষ্ট । আমরাও হই । সংসারে নানাভাবে আমরা বিষাদগ্রস্ত হই । কিন্তু আমাদের বিষাদ যোগে পরিণত হয় না । অর্জুনের হয়েছে । কারণ অর্জুন তাঁরই সামনে বিষাদগ্রস্ত হয়ে চোখের জল ফেলছেন যিনি এ জগতের সবার বিষাদ দুর করতে সমর্থ । তাই তার বিষাদ যোগে পরিণত হয়ে গেছে । আর আমরা ? আমরা কি কখনও তাঁর সামনে কেঁদেছি, ব্যক্ত করেছি আমাদের বিষণœতা ? উল্টো আমরাই যাই অন্যের চোখের জল মোছাতে । কী যোগ্যতা অঅছে আমাদের অন্যের বিষাদ দুর করণের ? নিজেরাই যেখানে প্রতি পলে পলে বিষণœতায় কাঁদছি, সেখানে কোন্ যোগ্যতা রাখি অন্যের বিষণনতার অশ্রæ মুছিয়ে দিতে ? অর্জুন বিষাদগ্রস্ত হয়ে তার কর্তব্যকর্ম থেকে সরে গেছেন । যে কলুষতা, হৃদয়ের যে ক্ষুদ্র দুর্বলতা, যে অনার্যসুলভতা অর্জুনের বীরত্বকে ক্লীবত্বে পরিণত করে ...
- Get link
- X
- Other Apps
MxZvi cÖ_g lUK bvbK KvwšÍ †mb MxZvi cÖ_g lUK‡K AvPvh©cv‡`iv K‡g©i lUK bv‡g AwfwnZ K‡i‡Qb | lUKwU ïiæ n‡q‡Q ARy©bwelv`‡hvM w`‡q | kÎæZvcb exi ARy©b welv`MÖ¯Í | hyׇÿ‡Î wbKU AvZ¥xq-¯^Rb I ¸iæRb‡`i‡K wec‡ÿ †`‡L ARy©b wKsKZ©e¨weg~p n‡q †M‡Qb | ÿw·qi c‡ÿ b¨vqhy× KivUvI KZ©e¨Kg© | ARy©b †mB fzwgKv †_‡K åó | AvgivI nB | msmv‡i bvbvfv‡e Avgiv welv`MÖ¯Í nB | wKš‘ Avgv‡`i welv` †hv‡M cwiYZ nq bv | ARy©‡bi n‡q‡Q | KviY ARy©b ZuviB mvg‡b welv`MÖ¯Í n‡q †Pv‡Li Rj ‡dj‡Qb whwb G RM‡Zi mevi welv` `yi Ki‡Z mg_© | ZvB Zvi welv` †hv‡M cwiYZ n‡q †M‡Q | Avi Avgiv ? Avgiv wK KLbI Zuvi mvg‡b †Ku‡`wQ, e¨³ K‡iwQ Avgv‡`i welYœZv ? D‡ëv AvgivB hvB A‡b¨i †Pv‡Li Rj †gvQv‡Z | Kx †hvM¨Zv AA‡Q Avgv‡`i A‡b¨i welv` `yi Ki‡Yi ? wb‡RivB †hLv‡b cÖwZ c‡j c‡j welYœZvq Kuv`wQ, †mLv‡b †Kvb& †hvM¨Zv ivwL A‡b¨i welYbZvi AkÖæ gywQ‡q w`‡Z ? ARy©b welv`MÖ¯Í n‡q Zvi KZ©e¨Kg© †_‡K m‡i †M‡Qb | ‡h KjylZv, ü`‡qi †h ÿz`ª `ye©jZv, †h Abvh©myjfZv ARy©‡bi exiZ¡‡K K¬xe‡Z¡ cwiYZ K‡i w`‡q‡Q, †mLvb †_‡K Zv‡K Zz‡j G‡b KZ©e¨K‡g© cÖ‡...
বিবাহে যৌতুক প্রথার প্রবণতা এবং ব্যয় হ্রাস প্রসঙ্গে আলোচনা
- Get link
- X
- Other Apps
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য বিবাহ । ব্যষ্টি এবং সমষ্টি জীবনের শান্তি বিবাহের উপর নির্ভর করে । তাই বিবাহকে আমরা ‘শুভ’ বিশেষণে বিশেষিত করে বলি ‘শুভবিবাহ’ । স্বেচ্ছারিতা দ্বারা শুভকে পাওয়া যায় না । তার জন্য চাই সাধনা । হিন্দুর বিবাহে উচ্চ আদর্শ, গভীর তাৎপর্য এবং কল্যাণগর্ভ ভবিষ্যৎ বিধৃত । মনুপ্রমুখ-প্রচারিত হিন্দু বিবাহ চুক্তি নয় - ব্রত । চুক্তির পরিবর্তে মঙ্গলানুষ্ঠান বলেই স্নান, শুভ্র বসন পরিধান, উলুধ্বনি, সঙ্গীত, লাজবর্ষণাদির শুচি-সুন্দর আয়োজন । পাত্র নির্বাচনে অর্থের চেয়ে বিদ্যা ও সদাচারকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে শাস্ত্রে । বিত্ত এবং খ্যাতি নয় । গুণেরই সমাদর হিন্দু বিবাহে । অন্য সব কিছু থাকলেও গুণহীনকে কখনো কন্যাদান করা যাবে না । নির্গুণকে কন্যা দান না করে আইবুড়ো করে রাখাও ভাল বলে মনু মনে করেন । ‘ন কন্যায়াঃ পিতা বিদ্বান্ গৃহ্নীয়াচ্ছুল্কমস্বপি । গৃহ্নন্ শুল্কং হি লোভেন স্যান্ নরোহপত্যবিক্রয়ী ।। স্ত্রীধনানি তু যে মোহাদুপজীবন্তি বান্ধবাঃ ।। নারী যানানি বস্ত্রং তে পাপা যান্ত্যধোগতিম্ ।। (মনু সংহিতা - ৩/৫১-৫২) বিবাহে অল্পমাত্র পণ গ্রহণ করাও হিন্দু শাস্ত্রমতে গর্হি ত অপরাধ । যি...
শ্রাদ্ধ-বাসরে প্রধান আরাধ্য-দেবতার বর্ণনাসহ শ্রাদ্ধ-বাসরে ব্রহ্ম-ভুজ্যি/ভুরি ভোজনের ব্যাখ্যা, নিরামিষ বা আমিষ আহার প্রসঙ্গে - ৪
- Get link
- X
- Other Apps
অতএব উপরোক্ত শাস্ত্র-বচনানুসারে শ্রাদ্ধে অবশ্যই নিরামিষ আহারের ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত । তৃতীয় আলোচ্য বিষয়টি হলো, মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধাদি ক্রিয়া একাদশী তিথিতে পড়লে অন্নগ্রহণ বা দান করা প্রশস্ত কি না । পদ্মপুরাণে পুষ্করখণ্ডে লিখিত আছে,- “একাদশ্যাং যদা রাম শ্রাদ্ধং নৈমিত্তিকং ভবেৎ । তদ্দিনে তু পরিত্যাজ্য দ্বাদশ্যাং শ্রাদ্ধমাচরেৎ ।।” - হে রাম ! উপবাস দিবসে নৈমিত্তিক শ্রাদ্ধ উপস্থিত হইলে তদ্দিন বর্জন পূর্বক দ্বাদশীতে শ্রাদ্ধ করতে হয় । উক্ত পুরাণের উত্তরখণ্ডে লিখিত আছে যে, “একাদশ্যাস্তু প্রাপ্তায়াং মাতাপিত্রোর্মৃতেহহনি । দ্বাদশ্যাং তৎ প্রদাতব্যং নোপবাসদিনে ক্কচিৎ ।।” - মাতাপিতার মৃতাহে একাদশী হলে দ্বাদশীতে শ্রাদ্ধ কর্তব্য । কদাচ উপবাসাহে শ্রাদ্ধ করবে না । কারণ, দেবতারা বা পিতৃলোকেরা নিন্দিতান্ন সেবন করেন না । স্কন্দপুরাণে লিখিত আছে, - “একাদশী যদা নিত্যা শ্রাদ্ধং নৈমিত্তিকং ভবেৎ । উপবাসং তদা কুর্য্যাদ্বাদশ্যাং শ্রাদ্ধমাচরেৎ ।।” - নিত্যস্বরূপিণী একাদশীতে নৈমিত্তিক শ্রাদ্ধ সমুপস্থিত হলে একাদশীতে উপবাসী থেকে দ্বাদশী-দিবসে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করবে । ব্রহ্মবৈবর্...
শ্রাদ্ধ-বাসরে প্রধান আরাধ্য-দেবতার বর্ণনাসহ শ্রাদ্ধ-বাসরে ব্রহ্ম-ভুজ্যি/ভুরি ভোজনের ব্যাখ্যা, নিরামিষ বা আমিষ আহার প্রসঙ্গে - ৩
- Get link
- X
- Other Apps
(পূর্ববর্তী অংশের পর) অতএব, উপরোক্ত শাস্ত্র-বাক্যসমূহ অনুসারে শ্রাদ্ধে তিনজন বেদবিৎ ব্রাহ্মণ অথবা বৈষ্ণব ভোজনের ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত । তবে বিষ্ণুমন্ত্রোপাসকগণ অবশ্যই বৈষ্ণব-ভোজনের ব্যাপারেই গুরুত্ব দেবেন । তারপর আসছে নিরামিষ বা আমিষ আহার প্রসঙ্গ । ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণে বলা আছে, - “অশ্বমেধং গবালম্বং সন্ন্যাস পলপৈতৃকম্ । দেবরেণ সুতোৎপাদং কলৌ পঞ্চ বিবর্জ্জয়েৎ ।।” অর্থাৎ অশ্বমেধ যজ্ঞ, গোমেধ যজ্ঞ, সন্ন্যাস, মৎস্যাদিদ্বারা পিতৃ-শ্রাদ্ধ ও দেবর দ্বারা পুত্রোৎপাদন - এই পাঁচটি কলিতে বর্জন করবে । শ্রীমদ্ভাগবতের সপ্তম স্কন্ধের পঞ্চদশ অধ্যায়ে নারদ যুধিষ্ঠিরকে বলছেন, শ্রাদ্ধে আমিষ বা মৎস্য-মাংসাদি প্রদান করবে না । ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ বলছেন, যদি কোন ব্রাহ্মণ জেনেশুনে মৎস্য ভক্ষণ করেন, তবে তাহাকে ত্রিরাত্র উপবাসী থেকে প্রায়শ্চিত্ত করে শুদ্ধ হতে হয় । ভগবন্নিষ্ঠ ব্যক্তি শ্রাদ্ধদিনে প্রথমতঃ ভগবানকে অন্ন প্রদান পূর্বক সেই নিবেদিত অন্ন দ্বারা শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করবেন । স্মৃতিতে উক্ত আছে যে, যাবৎকাল পিণ্ড প্রদান করা না হয়, তাবৎকাল পিত্রর্থে কৃতপাক অন্ন গৃহাগ্নি (শালাগ্নি), শি...